পর্তুগালের নাগরিকত্বের নতুন আইন কার্যকর করেছে পার্লামেন্টে ।

অভিবাসনের স্বর্গরাজ্য খ্যাত এই পর্তুগালে বাঙালি, ইন্ডিয়ান, পাকিস্থানি, দের আগমন ৯০ দশকের আগ থেকে। সবচেয়ে পুরাতন যে বাংলাদেশী গ্রুপটি  পর্তুগালে এসেছিলেন তাদের প্রায় পর্তুগালের বয়স ২৮/৩০ বছর হয়ে গেছে । একটা সময় ছিল পর্তুগালে ১০০০ বাংলাদেশী পুরো পর্তুগালে খুজে পাওয়া কস্ট হত  আর  এখন সবচেয়ে সহজ শর্তে বর্তমান সময়ে  কাগজপত্র  নেই এমন লোকদের বৈধকরনের শর্ত  বেধে দেয়ার ফলে পুরো ইউরোপে সব দেশ থেকে বাংলাদেশিসহ নানান দেশের লোক পর্তুগালের মাটিতে ভিড় জমান । পর্তুগাল একমাত্র দেশ যারা সর্ব প্রথম কাজের বিনিময়ে কাগজ দেয়ার প্রথা চালু করে ইউরোপে অর্থাৎ যারা পর্তুগালের ইকোনমিতে অবদান রাখবে , কাজ করবে ট্যাক্স দিবে তাদেরকে ডচুমেন্টস দেয়ার সিস্টেম চালু করেন । সেই ২০০৭ সাল থেকে চলমান আইন এখনো বহাল আছে। কখনো কখনো একটু কঠিন আবার কখনো কখনো একটু স্থিথিল ভাবে ইমিগ্রেশন অভিবাসীদের ডকুমেন্টস দেয়ার কাজটি করেছেন। তবে এখন জে কয়টা দেশে আপনি

অবৈধ অভিবাসীরা রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন  (অবশ্যই কিছু শরতের ভিত্তিতে) তার মধ্যে পর্তুগাল অন্যতম । বিগত ২/৩ বছর যাবত কিছু আইন পরিবর্তনের ফলে যাদের পাসপোর্টে কোন দেশের ভিসা নেই তারা কোন ভাবেই রেসিডেন্স পারমিট  নিতে পারতেছিলেন , , অবশেষে সেটার ও সমাধান দিল পর্তুগীজ পার্লামেন্ট কিছু দিন আগে । আইন করে দিয়েছেন কারো ভিসা থাকুক না না থাকুক কেউ যদি পরতুগাল্লে ১ বছর কাজ করে ট্যাক্স দিয়েছে সরকার কে এমন সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারে তাহলে সে ডকুমেন্টস অর্থাৎ রেসিডেন্স পারমিট ের জন্য আবেদন  করতে পারবে। ভিসা যাদের আছে তাদের জন্য বৈধভাবে পর্তুগালে এন্ট্রি  করেছেন এমন প্রমানাদি + মিনিমাম ৬ মাস কাজ করেছেন এমন সব ডকুমেন্টস থাকলে যেকেউ রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবে । রেসিডেন্স ের পরের ধাপ হল পার্মানেন্ট রেসিডেন্স পারমিট , তারপরের ধাপ হল নাগরিকত্ব অর্থাৎ পাসপোর্ট হাতে পাওয়া ।

১#এখন রেসিডেন্স পারমিট পাবার কত বছর পর আপনি পাসপোর্ট ের আবেদন করতে পারবেন ?

উত্তর – আগে ছিল প্রথম রেসিডেন্স পারমিট কার্ড ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ বছর পরে আপনি পাসপোর্ট ের আবেদন করতে পারবেন  ২০০৬- ৪ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত এই নিয়ম ছিল।

আর এখন হল প্রথম রেসিডেন্স পারমিট কার্ড ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর অর্থাৎ এক বছর কমিয়ে আনা হয়েছে।  এখন পর্তুগাল পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে ৫ বছর পর্তুগালে বৈধ ভাবে থাকা লাগবে।  সাথে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেটা পরে আসি…

২#আর আরেকটা মেইন পয়েন্ট সংশোধন করেছেন সেটা হল –

জেসকল বাচ্চা কাচ্চার বাবা মা ইমিগ্রান্ট বৈধ পর্তুগালে সেই সকল বাচ্চা কাচ্চা ২ বছর পর ই নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে। সেটা আগে ছিল পাঁচ বছর বাচ্চার জন্য । মানে হল মা বাপের যেকোনো একজনের রেসিডেন্স পারমিট থাকলে সেই বাচ্চা ২ বছর পাসপোর্ট এর আবেদন করতে  পারবে।

বাকি নাগরিকত্তের আরো জানার থাকলে নিচের অংশগুলো পরে নিবেন  –

২০০৬ সাল থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে । । যদি লিখা গুলো ইংলিশে সো আমি মেইন পয়েন্ট গুলো জাস্ট বাংলায় লিখে দিচ্ছি । যদি তারপরও কিছু জানার থাকে কমেন্টেস এ জানাতে পারেন । আমি এখানে কত গুলো অফিসিয়াল লিঙ্ক দিচ্ছি কারো যদি পড়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে লিঙ্কে গিয়ে পড়ে নিবেন । 

১# যদি আপনি পর্তুগালে জন্মগ্রহন করে আর আপনার মা অথবা বা যেকোনো একজন পর্তুগীজ হয় তাহলে আপনি জন্মসুত্রে সাথে সাথে পর্তুগীজ জাতীয়তা পাবেন ।

২# আপনি যদি পর্তুগালে জন্মগ্রহন করেন আর আপনার বাবা-মা ৩য় কোন দেশের নাগরিক হয় তাহলে আপনি ২ বছর থাকার পর ন্যাশনালিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন । সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রাইমারি স্কুল লেভেল শেষ করতে হবে । (১৮ বছরের নিচে যাদের জন্ম পর্তুগালে তাদের জন্য )

৩#আপনি যদি পর্তুগালে বৈধভাবে ৫ বছর অবস্থান করেন এবং পর্তুগীজ ল্যাঙ্গুয়েজ মিনিমাম  A2 or B1 পর্যন্ত শেষ করেছেন এমন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন তাহলে ৫ বছর পর পর্তুগীজ সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে এই ক্ষেত্রে আপনার নামে কোন প্রকার মামলা বা মামলার সাজার ৩ বছরের অধিক হতে পারবে না । অর্থাৎ কোন প্রকার ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে আপনার নামে সেটার সাজা যদি ৩ বছরের অধিক হয় তাহলে পাসপোর্ট পাবেন না ।

৪# যদি আপনি পর্তুগীজ নাগরিক বিয়ে করে বা লিভ টুঁগেদার করে মিনিমাম ৩ বছর তাহলে পর্তুগীজ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন । সেই ক্ষেত্রে আপনাকে বিয়ে হলে অফিসিয়াল সার্টিফিকেট, আর লিভ টুঁগেদার হলে মিউনিসিপালিটি তে রেজিস্টার করতে হবে ।

৫# যদি পর্তুগীজ নাগরিক কাউকে দত্তক নেয় তাহলে সে ৩ বছর থাকার পর পর্তুগীজ জাতীয়তা লাভ করবে । 

৬# যদি আপনি পর্তুগালে জন্মগ্রহন করে এবং অবৈধভাবে ১০ বছর থাকেন তাহলে পর্তুগীজ সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।

লিঙ্কস সমুহ – http://bit.ly/1P0Erb8

http://www.nacionalidade.sef.pt/

Lei da Nacionalidade – Lei Orgânica n.º 2/2018