লাইফস ইন ইউরোপ ডেস্ক : এস্তোনিয়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চালু করেছে ডিজিটাল নোমাদ ভিসা। এস্তোনিয়া বিদেশী ফ্রীলান্সার এবং কর্মীদের জন্য নতুন স্কিম চালু করেছে। যারা ফ্রীলান্সার হিসেবে কাজ করে তারা এই সুযোগটি নিতে পারবেন। বাংলাদেশী অনেক ফ্রীলান্সার আছে যারা ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে পারি জমাতে চায় সুযোগ সুবিধার জন্য কিন্তু চাইলে অন্য দেশে যাওয়ার সম্ভব না কারণ ফ্রীলান্সারদের জন্য স্পেশাল কোনো ভিসা নেই। এস্তোনিয়া ডিজিটাল নোমাড ভিসা (ডিএনভি) নামে এক ধরণের ভিসা চালু করছে যে ভিসা মাধ্যমে ফ্রীলান্সাররা আবেদন করতে পারবে।
এই ডিজিটাল নোমাড ভিসা আওতাধীনে তারাই আসতে পারবেন যারা ফ্রীলান্সার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এস্তোনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছিল যে স্বল্পমেয়াদী (সি-ভিসা) এবং দীর্ঘমেয়াদী (ডি-ভিসা) উভয় ভিসাই ফ্রীলান্সারদেরকে দেয়া যেতে পারে।
এস্তোনিয়ার ডিএনভিতে আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে হবে।
১. আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একটি “ডিজিটাল প্লাটফর্মে ” কাজ করেন যার অর্থ আপনি যেকোন স্থান থেকে দূরবর্তী কাজ করতে পারেন টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
২. এস্তোনিয়ার বাইরের নিবন্ধিত কোনো কোম্পানির সাথে আপনার কাজের চুক্তি রয়েছে এবং এর আপনি আন্তর্জাতিক দেশগুলির ক্লায়েন্টদের অংশীদার শেয়ারহোল্ডার বা ফ্রিল্যান্সার।
৩. আপনাকে আবেদনের পূর্ববর্তী ছয় মাসের আপনার আয় করেছেন তার একটি প্রমাণ দিতে হবে। বর্তমানে, মাসিক আয় € 3,504 থাকতে হবে। ডিজিটাল নোমড ভিসা ভিসাধারীরা অন্যান্য শেঞ্জেন দেশে ভ্রমণের করে পারবে।
এই ভিসার জন্য কোনও নির্দিষ্ট দক্ষতা, শিক্ষার স্তর বা পেশার প্রয়োজন নেই। তবে, এস্তোনিয়াতে ডিজিটাল নোমাড ভিসায় থাকার অর্থ এই নয় যে আপনি এস্তোনীয় নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পেয়ে গেছেন। এই ভিসার মাধমে অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হয় তবে এটি কোনো আবাসনের অনুমতি নয়।
অনলাইন অবলম্বনে – আতাউর রহমান
ফ্রিল্যান্স রাইটার, ইতালি