যুবরাজ শাহাদাত : টেম্পোরারি রি এন্ট্রি ভিসা নিয়ে পর্তুগাল ফিরতে হবে (E-6 Visa) কোভিড-১৯ এর কারণে নিজ নিজ দেশে আটকা পড়া সকল অভিবাসীদের
যারা পর্তুগালের বাহিরে কোনো দেশে আটকে পড়েছেন তারা পর্তুগাল ফিরতে চাইলে কিংবা তাদের ফেমিলি মেম্বার যারা ইতিমধ্যে ভিসা পেয়েও আস্তে পারেনি তারা নতুন করে ভিসা আবেদন জমা করতে হবে. বর্তমানে পর্তুগাল দূতাবাস নিউ দিল্লী খুলে আছে শুধুমাত্র মেয়াদোত্তীর্ণ রেসিডেন্স হোল্ডার যারা তাদের জন্য E-6 ভিসা এবং ফেমিলি রিইউনিয়ন ক্যাটাগরিতে যাদের ভিসা হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে পর্তুগাল যেতে পারেনি তাদেরকে নতুন করে D-6 ভিসার আবেদন জমা করতে হবে. তবে পর্তুগালের দূতাবাস সরাসরি কোনো আবেদন জমা নিবে না, সেইক্ষেত্রে আপনাকে ভিএফেসের মাদ্ধমে জমা করতে হবে। এখন চলুন দেখি E-6 ভিসা D-6 ভিসার আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন ?
প্রথমে E-6 ভিসার আবেদন করতে যা যা লাগবে তার তালিকা দেয়া হলো :
- ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম
- পাসপোর্ট
- মেয়াদোত্তীর্ণ রেসিডেন্স পারমিট
- বাসার কন্ট্রাক্ট বা জুনতা (House lease অথবা প্রুফ অফ আড্ড্রেস ),
- আপনার ব্যাংক একাউন্ট ডিটেইলস,
- কাজের/জব কন্টাক্ট।
- অনলাইনে (SEF) পর্তুগাল ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের থেকে রেনিউ এপয়েনমেন্ট লেটার
- IRS (বিগত বছরে )
- কভার লেটার (এখানে আপনি অবশ্যই মেয়াদ থাকাবস্থায় পর্তুগালে ফিরতে না পারার কারণ হিসেবে কোভিড-১৯ মহামারীতে ফ্লাইট বন্ধ ছিলো উল্লেখ করবেন)।
এছাড়া পর্তুগালের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত সকল কার্ডের মেয়াদ ৩০ অক্টোবর’২০২০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে,যা পর্তুগালের সকল অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করা যাবে। সেটা শুধুমাত্র পর্তুগালের টেরিটোরির ভেতরে থাকলে বৈধ হিসাবে গণনা করা হবে.
এবার আসি D-6 ভিসার আবেদন নিয়ে . D-6 ভিসা মূলত
পর্তুগালের ফ্যামিলি রি-ইউনিয়ন পারমিট ভিসায় যারা ভিসা পেয়েছিলেন কিন্তু করোনার কারণে পর্তুগাল আসা হয়নি তাদেরকে নতুন করে ৩ মাসের যে এন্ট্রি পারমিট দেয়া হবে সেটা। এটার জন্য তেমন কিছুই প্রয়োজন নেই. যা লাগবে তা হলো :
- আবেদনকারী পর্তুগালের ভিসা কপি সহ পাসপোর্ট
- ভিসার আবেদন ফর্ম
- কভার লেটার
উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো নিউ দিল্লীতে ভিএফএস – পর্তুগালের কাউন্টারে জমা দিতে হবে. তবে আপনাকে আগেই এই নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির জন্য এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখতে হবে. সরাসরি পর্তুগাল এম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা দেয়ার সুযোগ নেই. তবে নরমাল সময়ের চেয়ে আপনার ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। এই দুই ক্যাটাগরির ছাড়া বর্তমানে পর্তুগালের দূতাবাসে আর কোনো প্রকার ভিসার আবেদন জমা দেয়ার সুযোগ নেই. আপনাকে কাজকর্ম স্বাভাবিক হবার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে.
আমার ব্লগের অন্যান্য পোষ্ট পড়ুন :
- পর্তুগালে দূতাবাসে শুধুমাত্র রি -এন্ট্রি পারমিট E6 এবং D-6 ভিসার আবেদন গ্রহণ করবে
- বাংলাদেশীদের ইউরোপের জব/স্টুডেন্টস ভিসা বেশি পরিমানে রিফিউজড করার কিছু কারণ !
- পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
আমার ব্লগের সর্বশেষ আপডেট গুলো পেতে চোখ রাখুন আমার ফেইসবুক পেইজ – লাইফ’স ইন ইউরোপ
এবং আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজ – যুবরাজ শাহাদাত ধন্যবাদ সবাইকে .