উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে প্রতিবছর ইউরোপ-এশিয়ার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছে ইউরেশিয়ার অন্যতম মুসলিম দেশ তুরস্কে। তুলনামূলক কম টিউশন ফি হলেও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান করছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চাহিদা সম্পন্ন সব বিষয়েই পড়ার সুযোগ আছে তুরস্কে।
কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি আবেদন ও আনুষঙ্গিক তথ্য জেনে নিন ভালো করে। অনলাইন থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এক্সামিনেশন’ ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর নির্দেশিত নিয়মে আবেদন পাঠাতে হবে। তুরস্কের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। আইইএলটিএসে অন্তত ৫ দশমিক ৫০ আছে এমন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজ্যুয়েট কোর্স করার জন্য, ওই দেশের সরকার বৃত্তি দিচ্ছে। ছোট ভাইয়েরা ট্রাই করেন। একটু বলি আন্ডারগ্র্যাজ্যুয়েট কোর্স মানে হলো আামদের দেশের ব্যাচেলর ডিগ্রি, অনার্স ইত্যাদি। তাই আমি বলব যারা অলরেডি ব্যাচেলর ডিগ্রি করছেন, এমনকি শেষ করেছেন, তারাও আবেদন করতে পারেন। কারণ এইটা হলো বৃত্তির সুযোগ ।
আপনি বৃত্তির জন্য সিলেক্টেড হলেই তারপর আপনার বিষয় নির্বাচন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন ইত্যাদি নিয়ে দেন-দরবার হবে। এটা কিন্তু তেমন কোন ঝামেলার আবেদন প্রক্রিয়া নাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট/বা প্রোফাইল তৈরী করলেন। এরপর আবেদন পত্র পূরণ করবেন। সার্টিফিকেট, ছবি, পার্সপোট অথবা ন্যাশনাল আইডি আপলোড করলেন। IELTS এর দরকার পড়বেনা, তবে ওখানে গিয়ে ওদের খরচে এক বছর তুর্কি ভাষার কোর্স করতে হবে, তাতে সমস্যা কি।
থাকা-খাওয়া ফ্রি তার উপর মাসিক ভাতাও পাওয়া যাবে। তবে আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করতে চান তাহলে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা দেখাতে হবে – GRE, GMAT etc ইত্যাদির স্কোর দিতে হবে।
তুরস্ক এখন ইউরোপের অনেকগুলো দেশের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে ভালো দেশ। বিশেষ করে ইটালি, স্পেন, গ্রিস এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। তুরস্কের অবস্থান ইউরোপ এবং এশিয়ার মাঝখানে হওয়ায়, অনেকটা ইউরোপের হাওয়া দেশটিতে। তাছাড়া যারা মুসলিম সংস্কৃতি, মুসলিম জীবন-যাপনের মধ্যে থাকতে চান, তাদের জন্য তুরস্ক হলো অন্যতম একটি দেশ, যেখানে আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করে শান্তি পাবেন।
আবার অন্য ধর্মের লোকজনের জন্যও কোন সমস্যা নাই।